News update
  • ‘With Science, We Can Feed the World of 9.7 Billion by 2050′     |     
  • WHO warns of severe disruptions to health services for funding cuts     |     
  • ICJ hears Sudan’s case accusing UAE of ‘complicity in genocide’     |     
  • Bombardment, deprivation and displacement continue in Gaza     |     
  • Aged and Alone: The hidden pains in old age homes     |     

গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ৬৩১, আহত ১৯২০০: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় 

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-09-09, 10:54am

ferewwetew-474341f1477f9c6f00e58a737f3aa5af1725857664.jpg




সারাদেশে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘাত-সহিংসতায় অন্তত ৬৩১ জন ছাত্র-জনতা প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১৯ হাজার ২০০ জনের বেশি। আন্দোলনে হতাহতদের পরিপূর্ণ তালিকা তৈরি করতে গত ১৫ আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) কমিটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অন্তত ৬৩১ জন ছাত্র-জনতা প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১৯ হাজার ২০০ জনের বেশি। ৪৫০ জনেরও বেশি মানুষকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল এবং এই ২১ দিনের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮১ জন মারা গেছেন।

এতে আরও বলা হয়েছে, আহতদের মধ্যে ১৬ হাজার জনের বেশি সারাদেশে সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং অন্তত তিন হাজার জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব ও কমিটির প্রধান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তথ্য সংগ্রহ করা চ্যালেঞ্জিং। কারণ, তারা সরকারি হাসপাতালের মতো কঠোরভাবে ডেটা সংরক্ষণ করে না। কিছু ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা ভয়ে হাসপাতালে নাম রেজিস্ট্রি করতে চায় না।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, এটি একটি খসড়া তালিকা। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এর ডেটা আরও আপডেট করছেন। কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে এই তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে এবং সেখানে আরও বেশকিছু অতিরিক্ত তথ্য সংযুক্ত থাকবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরিশাল, খুলনা, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের বেসরকারি ক্লিনিকে যারা চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের বিষয়ে সরকারকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১১ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। চট্টগ্রামে আহতের সংখ্যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুই হাজার।ঢাকা বিভাগে প্রাণহানিও ঘটেছে সর্বোচ্চ। এ বিভাগে নিহত হয়েছেন ৪৭৭ জন। নিহতের সংখ্যা সবচেয়ে কম বরিশালে একজন। চট্টগ্রাম ও খুলনায় নিহতের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৩ ও ৩৯ জন।

যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাদের মধ্যে তিন হাজার ৪৮ জনের অবস্থা ছিল গুরুতর। তাদের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়েছে। এ ছাড়া, কমপক্ষে ৫৩৫ জন তাদের আঘাতের কারণে স্থায়ীভাবে শারীরিক অক্ষম হয়ে পরেছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) আন্দোলনে আহত ও নিহতদের তালিকা তৈরি করছে।

এদিকে, শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণভবন পরিদর্শন শেষে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের তালিকা এ মাসেই প্রকাশ করা হবে।

জানা যায়, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রকৃত তালিকা করতে ওয়েবসাইট নির্মাণ করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে দেশের সরকারি হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের কাছে শহীদ ও আহতদের তথ্য ইনপুট দেবার সুযোগ রাখা হচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটি বলেছে, গণহত্যার প্রকৃত চিত্র আড়াল করতে ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই কবর দেওয়া হয়েছে। সনদে লেখা হয়েছে গুলিতে নিহত হয়নি এমন মিথ্যা তথ্য। আরটিভি